গৌরনদী প্রতিনিধি ॥ গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান দীপের সমর্থক এক নারী কর্মীর ওপর হামলার ঘটনার ৪দিন পর অবশেষে থানা পুলিশ মামলা গ্রহন করেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই নারী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এ পৌরসভা নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান দীপের টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের সমর্থক নারী কর্মী উপজেলার বড় কসবা গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে শিল্পি বেগম (৩৫) গত ১৮ জানুয়ারী ওই ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি ঘুরে টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি দক্ষিন পালরদী গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে ওই বাড়ির মালেক হাওলাদার ও প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ লিটন বেপারীর বড়ভাই নুর ইসলাম বেপারী, রায়হান হাওলাদার, বিঠু হাওলাদার, কামাল হাওলাদার ও লাভলী বেগম মিলে লাঠিশোটা নিয়ে এলোপাতারী হামলা চালিয়ে শিল্পি বেগম (৩৫)কে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্বজনরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ভূক্তভোগী শিল্পী বেগম জানান, ঘটনার পর হামলাকারীদের নামে থানায় মামলা দায়েরের জন্য গত ১৮ জানুয়ারী বিকেলে আমি গৌরনদী মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোঃ কামরুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেই। থানার ওসি এ ঘটনায় আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য তখন থানার এসআই মোঃ কামাল হোসেনের ওপর দায়িত্ব দেন। শিল্পি বেগম অভিযোগ করেন, দায়িত্ব নিয়ে এসআই কামাল হোসেন তার এজাহার গ্রহনে গড়িমসি করতে থাকেন। পরে তিনি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্ত হন। তাদের চাঁপের মূখে অবশেষে থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে তার অভিযোগটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহন করে। অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার এসআই মোঃ কামাল হোসেন বলেন, বাদীর অভিযোগ সত্য নয়, অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনার তদন্ত হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার প্রকৃয়া অব্যাহত আছে।
Leave a Reply